Thursday, May 10, 2012

একদল কিশোরের বিমান ছিনতাই প্রচেষ্টা - প্রথম আলো

একদল কিশোরের বিমান ছিনতাই প্রচেষ্টা - প্রথম আলো:

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ

একদল কিশোরের বিমান ছিনতাই প্রচেষ্টা

শামীম আমিনুর রহমান | তারিখ: ২৩-০৩-২০১২
  • ধরা পড়ার পর ‘মাশরিক’ পত্রিকায় প্রকাশিত পাঁচ বন্ধুর(উপরে), মার্শাল ল কোর্টের সামনে বিমান ছিনতাইয়��
    ধরা পড়ার পর ‘মাশরিক’ পত্রিকায় প্রকাশিত পাঁচ বন্ধুর(উপরে), মার্শাল ল কোর্টের সামনে বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচ কিশোর ও তাঁদের অভিভাবকেরা(নিচে)
    ছবি: জিয়াউল হক, আলী আনসার, আলতাফুর, আখতার হোসেন ও কায়সার হালিম
  • করাচি এয়ারপোর্টে যাওয়ার কয়েক দিন আগে বৈঠক শেষে তোলা ছবি। (বাঁ থেকে) আক্তার, মন্টু ও কায়সার
    করাচি এয়ারপোর্টে যাওয়ার কয়েক দিন আগে বৈঠক শেষে তোলা ছবি। (বাঁ থেকে) আক্তার, মন্টু ও কায়সার
1 2
বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলছে, এ সময় করাচিতে পাঁচ বাঙালি কিশোর অস্ত্র জোগাড় করে পরিকল্পনা নিল পিআইএর বিমান ছিনতাইয়ের। কিন্তু পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল...

আলতাফুরের খোঁজ পাই আমার পরিচিত এক মুক্তিযোদ্ধা বৈমানিকের কাছে। আলতাফুর ছিলেন পাঁচ কিশোর দলের একজন যাঁরা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই, বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায় এবং পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালিদের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের করাচিতে বসে পরিকল্পনা নিয়েছিল পিআইএর একটি বিমান ছিনতাইয়ের। আলতাফুর ছিলেন মূলত ওই কিশোর দলটির নেতা। প্রথমে এই ঘটনাটা জেনে অবাক হয়েছি ভীষণরকম, বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়নি।
তারপরও আলতাফুরকে খুঁজতে তাঁর অফিসে গিয়ে হাজির হলাম। সম্ভবত সেটি ছিল কোনো ছুটির দিন। পুরো অফিস ফাঁকা। সাক্ষাত হলো মাঝবয়সী সুদর্শন এক ভদ্রলোকের সঙ্গে। তিনিই আলতাফুর। তাঁর ঘরে বসে আলাপ শুরু হলো। আলতাফুর ফিরে গেলেন তাঁর ফেলে আসা কৈশোরের সেই স্বর্ণালি অধ্যায়ে। আমি ক্রমশ তাঁর স্মৃতির পাতায় নিমজ্জিত হতে থাকলাম।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পিআইএর একটি বিমান ছিনতাই করার কথা মাথায় আসে আলতাফুরের। আলতাফুর তখন পাকিস্তানের করাচিতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকেন। করাচির বাংলা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। গোপনে স্কুলের আরো কয়েকজন বাঙালি বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করলেন যে, যাত্রীবেশে টিকিট কেটে পিআইএর একটি বিমানে চড়ে বসবেন তাঁরা। তারপর বিমান আকাশে উড়ার পর অস্ত্রের মুখে বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবেন, যেমনটা তাঁরা সিনেমায় দেখেছেন।
ওই পরিকল্পনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আলতাফুর বলেন, ‘পরিকল্পনা নিলাম ঠিকই। কিন্তু সমস্য অনেক। টিকিটের জন্য দরকার টাকার, অস্ত্রও যোগাড় করতে হবে, সেটা মোটেও সহজ কাজ নয়। এছাড়া মেটাল ডিটেক্টরকে ফাকি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে বিমানে উঠতে হবে। আমরা প্লেনবিষয়ক নানা ধরনের বুলেটিন ও ডায়াগ্রাম পড়তে শুরু করলাম। সুযোগ করে এয়ারপোর্টে গিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থাও পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলাম।’
একাত্তরের নভেম্বরে একদিন আলতাফুর ও তাঁর বন্ধুরা করাচির জাহাঙ্গীর পার্কে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ওই পার্কে বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরের অধিবাসী জনৈক দুররানির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় ঘটে। দুররানি কোয়েটা থেকে কী এক কাজে করাচিতে এসেছিলেন এবং তখন ওই পার্কে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কথা প্রসঙ্গে দুররানি জানান, কোয়েটায় অনায়াসে পিস্তল কেনা যায়। তিনি নিজেকে সংগ্রামী বেলুচিস্তানের লাল কোর্তা সংগঠনের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
গোপন কিশোর দলে আলতাফুরসহ মোট সদস্য পাঁচজন: দশম শ্রেণীর ছাত্র আখতার হোসেন, আলী আনসার, জিয়াউল হক মন্টু এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র কায়সার হালিম ডাবলু। স্কুলের টিফিনের পয়সা, বাসার পুরোনো বইপত্র, ইলেকট্রিক ও খেলার সরঞ্জাম বিক্রির টাকা এবং স্কুল সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা একত্র করে যোগাড় হলো অস্ত্র ও প্লেনের টিকিট কেনার টাকা । আলী আনসার অবশ্য নিজেই দুটি পিস্তল কেনার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর কায়সার হালিম, যাঁকে সবাই ডাবলু বলে ডাকত, আখতার হোসেন এবং জিয়াউল হক মন্টু করাচি থেকে হাজার মাইল দূরে আফগান সীমান্তের কাছে কোয়েটা শহরে তিনবার গিয়ে দুররানির সাহায্যে পাঁচটি পিস্তল সংগ্রহ করেন। কিন্তু তত দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। ফলে তখন ঠিক হয়, বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায় এবং পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের মুক্তির দাবিতে বিমান ছিনতাই করা হবে। এবং এটা করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাই ২৫ মার্চের করাচি থেকে লাহোরগামী প্লেনের পাঁচটি টিকিট কেনা হলো। শেডিউল অনুযায়ী প্লেনটির সকাল সাতটায় করাচি বিমানবন্দর ছেড়ে যাবার কথা।
২৪ মার্চ বিকেলে আলতাফুর রহমান, আখতার হোসেন ও জিয়াউল হক মন্টু যাঁর যাঁর বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। আগেই ঠিক করা ছিল, রাতে তাঁরা আনসারের বাসায় থাকবেন। কিন্তু আনসারের বাসায় গেস্ট থাকায় ওখানে থাকা হলো না। আনসারও বাসায় অতিথি রেখে বেরুতে পারলেন না। অগত্যা বাকি চারজন অর্থাৎ আলতাফ, আখতার, জিয়াউল হক মন্টু ও ডাবলু এয়ারপোর্টের কাছে এক রাতের জন্য টুরিস্ট ইন নামের একটি হোটেলে রাত কাটান।
২৫ মার্চ ভোর ছটায় তাঁরা চারজন একটি ট্যাক্সি করে হাজির হন করাচী এয়ারপোর্টে। সময়ের চেয়ে বেশি আগে চলে আসায় তাঁরা দেখলেন বোর্ডিং লাউঞ্জে একেবারেই ফাঁকা। কাছের একটা রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ঠিক তখনই আখতারের বাবা ও মামা ট্যাক্সি করে এয়ারপোর্টে এসে হাজির হলেন। কিছুক্ষণ পর আলতাফুরের ছোট চাচাও চলে এলেন। পরিবারের কাছে তাঁদের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে। আলতাফের বাবা তাঁদের এয়ারপোর্ট বাড়িতে নিয়ে এলেন ঠিকই কিন্তু ওখান থেকে বাসার লোকজনকে পিস্তল দেখিয়ে আবার এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দিলেন আলতাফুর ও অন্যরা। এবার প্রথমে এয়ারপোর্টের কাছে একটি রেলওয়ের স্টক ইয়ার্ডে তাঁরা জড়ো হলেন এবং ওখান থেকে এয়ারপোর্টের দক্ষিণে কাঁটাতারের বেষ্টনীর কাছে চলে এলেন লুকিয়ে। কারণ তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন তাঁদের অভিভাবকেরা এয়ারপোর্টের প্রবেশপথে অপেক্ষা করবেন তাঁদের ধরার জন্য। তাঁদের ফাকি দেওয়া জন্যই এই বিকল্প পথে, কাঁটাতারের বেষ্টনী পেরিয়ে লাহোরগামী প্লেনে উঠার সিদ্ধান্ত। কিন্তু মুশকিল হলো তার কেটে এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢোকার মতো কোনো কিছু তাঁদের হাতে নেই। খানিক নানা উপায় নিয়ে ভেবে শেষে বাধ্য হয়ে পরিকল্পনা স্থগিত করে বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।
তবে সোজা বাসায় না গিয়ে একটি ট্রাকে লিফট নিয়ে শহরের দিকে চলে আসেন তাঁরা। তারপর জাহাঙ্গীর পার্কে ঢুকে ওখানেই বসে থাকেন। বাসায় ফেরেন আরো পরে।
এপ্রিল মাসের কোনো এক দিন মধ্যরাতে আলতাফুর ও তাঁর সঙ্গীদের বাসায় হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার হয় আলতাফুর, আখতার, কায়সার, আনসার ও জিয়াউল হক। রাতেই তাঁদের থানায় নিয়ে তখনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একত্র করা হয়। কথা আদায়ের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। জানতে চাওয়া হয়, অস্ত্র কোত্থেকে কীভাবে সংগ্রহ করা হলো। প্লেন ছিনতাই করার পরিকল্পনা কবে, কখন থেকে এবং কী উদ্দেশ্যে করার চিন্তা করা হয়েছিল? কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। প্রায় তিন দিন ধরে চলে নির্যাতন। আলতাফুরের ভাষায়, ‘দুজন লম্বা-চওড়া পুলিশ বেত দিয়ে আমাদের সজোরে পেটাতে লাগল। মারতে লাগল চড় ও ঘুষি। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেমক্কা আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিল। তারপর আমাদের পা দুটো উঁচু করে টেবিলে রাখা কাঠের একটা রোলার এবং বেত দিয়ে সজোরে পায়ের পাতায় আঘাত করা হতে থাকে। আঘাতে চোখে সরষে ফুল দেখতে শুরু করি।’
তিন দিন পর (১৩ এপ্রিল ১৯৭২) দুপুরে আলতাফুর ও তাঁর দলকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের সবাইকে সোজা জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। কিছুদিন পর ওঁদের বাবাদেরও গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ: সন্তানদের পরিকল্পনা জানার পরও পুলিশকে খবর দেননি তাঁরা। ১৯ এপ্রিল তাঁদের মার্শাল ল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলো। অভিভাবকদের চেয়ারে বসতে দিয়ে আলতাফুরদের পেছনে দাঁড় করিয়ে রাখা হলো। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জগুলো পড়ে শোনানো হলো। তাঁদের বিরুদ্ধে যে ধারায় কোর্টে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাতে মার্শাল লর ১০ ধারা ও পেনাল কোডের ৩৯৯ ধারায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষমতা কোর্ট রাখে। আলতাফুরের পক্ষের আইনজীবী কোর্টে যুক্তি তুলে ধরলেন, তাঁরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। বাংলাদেশ তখন অনেক দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত এবং এর জন্য তাঁদের সময় দরকার। আসলে আলতাফুরের আইনজীবী চাচ্ছিলেন, যাতে কোর্টের প্রসিডিং কিছুদিনের জন্য মুলতবি রাখা হয়। কারণ, তখন শোনা যাচ্ছিল, পাকিস্তানে মার্শাল ল উঠিয়ে নেওয়া হবে। ফলে মামলা কিছুদিনের জন্য মুলতবি রাখা হয়। এর কয়েক দিন পর মার্শাল ল তুলে নেওয়া হয়। আর আলতাফুরদের মামলা চলে যায় বেসামরিক আদালতে বা সাধারণ কোর্টে। এরপর বিচার চলাকালীন আলতাফুরদের দল এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত জেলে ছিলেন এবং তাঁদের অভিভাবকদেরও জুন পর্যন্ত জেলে থাকতে হয়েছিল। জুনে অভিভাবকেরা এবং আগস্টে আলতাফুরের দল জামিন লাভ করে। পাকিস্তানে তখন বাঙালিদের বাংলাদেশে সরকারিভাবে ফেরত পাঠানো শুরু হয়। আলতাফুর রহমান, আখতার হোসেন, কায়সার হালিম, আলী আনসার, জিয়াউল হক তাঁদের পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এত দিন পর মধ্যবয়সী আইনজীবী আলতাফুর সেদিনের ঘটনা বলতে গিয়ে বলেন: ‘বাস্তবে তখন সম্ভব ছিল কি না; সে কথা না ভেবেই কত বড় বড় পরিকল্পনাই না করেছিলাম। আমার এবং আমাদের বন্ধুদের সেদিনের এ রকম প্রচেষ্টাকে অনেকেই হাস্যকর বলে মনে করতে পারেন। কিন্তু আমরা যা কিছু করেছিলাম, মাতৃভূমির সঙ্গে আমাদের অকৃত্রিম নাড়ির টান থেকে, গভীর দেশপ্রেমের বোধ থেকেই।’
বিমান ছিনতাই স্কোয়াডের সেদিনের সেই কিশোর সদস্যরা এখন কোথায়। আলতাফুরের কাছে জানা গেল, আখতার হোসেন একটি প্রাইভেট এয়ারলাইনসের পাইলট, আর আলী আনসার চট্টগ্রামে একটি ফটো স্টুডিওর মালিক এবং কনস্ট্রাকশনের কাজ করেন। জিয়াউল হক মন্টু আছেন কানাডায়। তাঁর খুব কাছের বন্ধু কায়সার হালিম, যাকে তিনি ডাবলু বলে ডাকতেন তিনি বেঁচে নেই। অসমসাহসী এবং দৃঢ় মনোবলের অধিকারী ডাবলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুয়োলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালের দিকে এক মেয়ের প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

'via Blog this'

Wednesday, May 9, 2012

In Queens, Seeking to Clear a Path Between Yoga and Islam - NYTimes.com

In Queens, Seeking to Clear a Path Between Yoga and Islam - NYTimes.com:

'via Blog this'

আমি শহীদ পরিবারের সন্তান - প্রথম আলো

আমি শহীদ পরিবারের সন্তান - প্রথম আলো:

আমি শহীদ পরিবারের সন্তান

তারিখ: ২৩-০৩-২০১২
গণেশ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ম্যাট্রিক পাস করেও চাকরি জোগাড় করতে পারিনি’
গণেশ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ম্যাট্রিক পাস করেও চাকরি জোগাড় করতে পারিনি’
‘গাঢ় অন্ধকার যেন রাতের গভীরতাকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা সবে নয়টার ঘর ছুঁয়েছে। তার পরও রাতকে অনেক বেশি ঘনকালো ঠেকছিল সেদিন। আর সেই ভয়াল রাতেই ঘটে সেই অমানবিক ঘটনা। সন্ধ্যার পর থেকেই শ্রীশ্রী আনন্দমনি আশ্রম ও রমনা কালীবাড়ি মন্দির অনেক বেশি সুনসান হয়ে যায়। আর সেই সময়টা নিস্তব্ধতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমার জ্যাঠা থাকতেন মন্দিরের ঠিক পাশেই। সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন আমার বড় দুই বোন। ভয়াল সেই একাত্তরের ২৬ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন বড় জ্যাঠা। গুলি করেই ক্ষান্ত থাকেনি, মন্দিরের চারপাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মন্দিরের চারপাশের বসতির মানুষ যাঁরা বেঁচে ছিলেন, তাঁরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলি থেকে রেহাই পেলেও পুড়ে মারা যান আগুনে। জ্যাঠা গনেশ মুচি আর বড় দুই বোনসহ তিনজন শহীদ হন সেই ভয়াল রাতে। মেরে ফেলার জন্য সেদিন বাবাকেও লাইনে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে গুলিটা বাবার বুক ভেদ না করে পায়ে লাগে। প্রাণে বেঁচে যান বাবা।’ কথাগুলো বলার সময় দিলীপ মুচির কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। ঠোঁটটা তিরতির করে কাঁপছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী আবাসিক হলের মূল ফটকে বসে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মুচির কাজ করেন তিনি। 
প্রখর রোদ। রোদের তীব্রতা এত বেশি যে ছোট নিচু একচালার নিচে বসেও রেহাই পাচ্ছেন না রোদ থেকে। এরই মাঝে সবে জুতায় আঠা মাখিয়ে রেখেছেন। অন্য জুতায় মাখছেন কালো কালি। কালি মাখা হাতেই কপালের ঘাম মুছে নেন তিনি। একটু থেমে আবার বলতে শুরু করেন শহীদ পরিবারের এই সন্তান। ‘বয়স তখন খুব বেশি নয়, দুই-তিন বছর হবে। তাই স্মৃতিতে কিছুই নেই। পুরো ঘটনা বাবার মুখেই শোনা। নিজের চোখের সামনে ভাই আর মেয়েদের মৃত্যুতে বাবা শোকাহত হন। তবে শোক প্রকাশের ফুরসত পাননি। ক্ষত পা নিয়ে বাবা আর মা ছোট্ট আমাকে নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এরপর দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই; কিন্তু বাবার পায়ের ক্ষত রয়ে গেছে আজও। তবে মনের ক্ষত সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয় তাঁঁকে। শত কষ্টের মাঝেও পুরান ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে ম্যাট্রিক পাস করেছি। এরপর ড. শহীদুল্লাহ কলেজে আইএ ভর্তি হই। কিন্তু পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে পাসটা আর কপালে জোটেনি। শেষতক সংসারের হাল ধরতেই এই পেশায় নামা।’ প্রশ্ন করি অন্য সব পেশা বাদ দিয়ে কেন এই পেশায় এলেন? ‘আসলে সংসারে আমার পরের ছোট ভাইবোন, অন্যদিকে পঙ্গু বাবার দায়িত্ব নিতেই এই পেশায় আসা। বাবার স্বপ্ন ছিল আমি বড় চাকরি করব। কিন্তু সেই সৌভাগ্য হলো না।’ কথা বলার ফাঁকে হাতের কাজের কোনো রকম হেরফের হচ্ছে না। ঠিকই নিপুণ হাতে জুতা সেলাই করছেন। জুতার ধরন বুঝে কোনোটায় রং করছেন। আবার ব্যাগ সেলাই থেকে শুরু করে ছাতা ঠিক করার কাজটা করে যাচ্ছেন। বলা যেতে পারে জুতা সেলাই থেকে চণ্ডী পাঠ বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন তিনি। গনেশ মুচি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ম্যাট্রিক পাস করেও কোনো চাকরি জোগাড় করতে পারিনি। এখন মুক্তিযুদ্ধের সনদ দিয়েই কত মানুষ চাকরি পাচ্ছে। অথচ একই পরিবারের তিনজন মানুষ শহীদ হয়েও কোনো চাকরি পাচ্ছি না। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে কী পেলাম আমরা?’
‘সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাবা নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি অন্য দেশে। বলেছেন, “একদিন স্বাধীনতা আসবে, আসবে সুখ।”
অথচ আজ আস্তাকুঁড়ে বেঁচে আছি। কোনো দিন ২০০, কোনো দিন ৩০০ টাকা উপার্জন করছি। দুই ছেলে, এক মেয়ে আর বাবা-মাকে নিয়ে ছোট ভাড়াবাড়িতে থাকছি কামরাঙ্গীর চরে। সংসার চলতেই চায় না। তার পরও দিন যায়, রাত আসে। শুধু স্বপ্ন বুনি সন্তানেরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। হয়তো স্বগর্বেই একদিন বলবে, “আমরা শহীদ পরিবারের কৃতী সন্তান।”’
 শারমিন নাহার

'via Blog this'

Daily Times - Leading News Resource of Pakistan - THINKING ALOUD: A creeping inquisition — Razi Azmi

Daily Times - Leading News Resource of Pakistan - THINKING ALOUD: A creeping inquisition — Razi Azmi:

THINKING ALOUD: A creeping inquisition — Razi Azmi

Iqbal Butt’s fate is absolutely insignificant in a country where the governor of the largest province can be shot dead by his own bodyguard for merely suggesting that the blasphemy laws need to be revised 



An 80-year-old man, Iqbal Butt, who had been accused of blasphemy but released from jail after being found ‘not guilty’, has been shot dead, allegedly by the very mosque imam who had falsely accused him of blasphemy. In Iran, Yusuf Naderkhani was recently sentenced to death for converting from Islam to Christianity. A few years ago, in Afghanistan, Abdur Rehman was sentenced to death for the same offence, but was put on a plane to Germany under western pressure after being declared ‘insane’. Indeed, in any Muslim country, a Muslim would have to be completely insane to convert to another religion. Likewise, anyone would be mad to commit blasphemy intentionally in a Muslim country.
The Saudi constitution defines every Saudi citizen to be a Muslim and Malaysia makes it compulsory for all ethnic Malays to be Muslims. Muslim Malays can convert non-Muslims to Islam, but are forbidden to convert to any other religion themselves. There was the comical case of a Malaysian-Chinese woman who had converted to Islam in order to marry a Muslim (a legal requirement), but when she wanted to revert to Christianity after the breakdown of her marriage, she was prevented by the court from doing so.
In Pakistan, one Rana Asif Mahmood is on the verge of being forced to become an accidental Muslim, thanks to a clerical error, which must stand, because correcting it will be sacrilegious. Mehmood swears that he is a Christian and he was recently elected to the National Assembly as such from a reserved minority seat. However, he may now lose his seat because the National Registration Authority (NADRA) erroneously registered him as a Muslim since he has a ‘Muslim name’ (like most Pakistani Christians). And should he want to keep his parliamentary seat by insisting that he is a Christian, Mehmood may be liable to lose his neck, for that might invite the charge of apostasy. Apparently, he cannot keep both his seat and his neck! The conundrum is the result of NADRA rules that prohibit it from changing on its records, anyone’s religion from Islam to any other, though it is fine in the opposite direction.
In countries where they are in a minority, Muslims work ceaselessly to convert followers of other faiths to Islam. They claim that a quarter of the six million Muslims in the US are converts from other religions. The number of Muslim converts in Britain is reported to have passed 100,000. Allah be praised for this one-way traffic!
A spelling error (actually a misplaced dot) in an Urdu exam by a Christian eighth-grader named Faryal recently provoked a public reaction suggesting that a major conspiracy to shake the foundations of the Islamic Republic had been crushed. Faryal and her family should consider themselves lucky, for she was merely expelled from the school and her mother, a nurse, transferred to another hospital in a nearby town to placate the sensitivities of true believers. A Muslim doctor in Hyderabad went to jail for throwing into a dustbin the business card of a medical salesperson. He was accused of sacrilege because a part of the salesperson’s name was ‘Muhammad’.
While Christians and Hindus live in Pakistan as third class citizens and Ahmedis are treated as condemned criminals, there is now an open season against Shi’as. Regarded as contemptible heretics, they are being shot in various parts of the country like beasts.
No one is safe, absolutely no one. Half of the thousand or so persons now in jail on blasphemy charges are Sunni Muslims. We seem but a few steps away from instituting something resembling the 15th century Spanish Inquisition. Here is one description randomly taken from the internet: “The accused woman lay naked on an escalera, a ladder tipped so that her head was lower than her feet. The torturer had stretched her out to her full length and bound her tightly. Iron prongs held her jaws open. Her nostrils were stopped, allowing breathing only through her mouth. She struggled, but her bounds permitted little movement, and days of relentless questioning had left her exhausted. Three other men stood over the woman in the torture chamber. A doctor observed her reactions and assessed her general condition. The mandates of the 15th century Spanish Inquisition required the presence of a physician to monitor the health of the accused. The purpose of torture would be nullified if the accused was physically unable to hear and understand the proceedings. A confession, if it came, had to be a pure act, not the half-conscious ramblings of a mortally wounded sinner. A clerk sat at a crude wooden table, poised to write down the particulars of the session. Witnesses had previously testified that on several successive Saturdays, smoke did not emerge from the woman’s chimney, a strong indication that she was secretly a practising Jew. During questioning, the woman had insisted that although she was born a Jew, she was now a converse, a convert to Catholicism. But the telltale signs indicated that she was in fact a heretic, a practising Jew pretending to be a Catholic and secretly subverting the Catholic faith.”
Pakistanis — Christians, Hindus, Ahmedis, Shi’as, even Sunnis — should thank Allah that they live in 21st century Pakistan and not in 15th century Spain. But that is small consolation for the families of those killed for their faith or lack of it; or those who languish in jails, accused of blasphemy or apostasy; or those who live in fear, because of their religious beliefs.
Iqbal Butt’s fate is absolutely insignificant in a country where the governor of the largest province can be shot dead by his own bodyguard for merely suggesting that the blasphemy laws need to be revised and where the federal minister for minority affairs is murdered merely for speaking out for his fellow-Christians.
Call it a fundamentalist Frankenstein, the religious juggernaut, or what you will, but two things are beyond doubt. Firstly, it is now out of control. Secondly, citizens of the Islamic Republic are merely reaping what they collectively sowed decades ago by making it the business of the state to enforce, protect and promote religion.

The writer has a doctorate in modern history and can be contacted at raziazmi@hotmail.com

'via Blog this'

Mark Tully, Simon Dring to tell 1971 stories | Bangladesh | bdnews24.com

Mark Tully, Simon Dring to tell 1971 stories | Bangladesh | bdnews24.com:

Mark Tully, Simon Dring to tell 1971 stories
Sun, Apr 15th, 2012 6:50 pm BdST
 
Dhaka, Apr 15 (bdnews24.com) – Celebrated British journalists Sir William Mark Tully and Simon Dring will reminisce about their experiences during Bangladesh's War of Independence at a programme on Monday.

One of the organisers, business leader Annisul Huq told bdnews24.com: "The two foreign journalists will start telling us about their war-time experiences from 7:30pm at Hotel Sonargaon."

Sir Mark Tully was BBC's India correspondent in 1971 and is still one of Britain's favourite broadcasters. During the war, the news media controlled by the then Pakistani junta used to carry out coverage for the military and their affiliates. Mark Tully's coverage of the war on BBC radio was the people's chief source of authentic information.

Covering the Liberation War of Bangladesh was a high point in Sir Mark's career; that he did extensively for the BBC and had the fortune to watch founding father of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman from close quarters.

London-based Daily Telegraph's war correspondent Simon Dring was the first person who flashed out to the world the genocide carried out by the Pakistani forces on the Bengalis when Operation Searchlight was launched on the night of Mar 25, 1971.

All foreign correspondents and journalists had already been expelled from Dhaka by the military authorities and Dring was one of three correspondents who at the risk of their lives managed to stay in hiding – the other two being Arnold Zeitlin and Michael Laurent.

On Mar 30, Telegraph published Dring's eyewitness account of Operation Searchlight. Datelined Dhaka it was called "How Dhaka paid for a united Pakistan" and Dring's account of the army's attack on Dhaka University was horrifying and shocking but vivid and factual.

Business groups Mohammadi Group and Ha-Meem Group of current FBCCI president A K Azad, are sponsoring the programme titled 'Smriti 71'.

Sector commander and former army chief retired Maj Gen K M Shafiullah would be joining the two journalists in reflecting on the tumultuous days.

"We have invited all MPs, cabinet members, journalists and businessmen," Annisul Huq of Mohammadi Group said.

None without invite will be allowed, added the former FBCCI chief.

The programme, however, will be broadcast live on Desh Television and can be watched also on bdnews24.com.

Toufique Imrose Khalidi, editor-in-chief of the Bangladesh's first Internet newspaper, will moderate the programme.

Anyone can send their queries to the guests to this email address – smriti71@bdnews24.com

A previous attempt to bring the duo together to hear their stories was cancelled due to Sir Mark's illness.

Sir Mark, who reported the assassination of Indira Gandhi, the Bhopal gas tragedy and the destruction of the Babri Mosque by Hindu fanatics at Ayodhya, was awarded one of India's highest honours, the Padma Bhushan.

He will meet prime minister Sheikh Hasina at her official residence Ganabhaban before the programme.

bdnews24.com/gna/rn/bd/1832h

'via Blog this'