রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া নেই
জোট ও ভোটের রাজনীতির স্বার্থে বিএনপির মৌনতা
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৭-০৭-২০১৩
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও রায় নিয়ে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা। এ নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য না করার জন্য নেতাদের ওপর দলের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দল, জোট ও ভোটের রাজনীতির স্বার্থে এ বিষয়ে মৌনতা অবলম্বনের কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা কেউ এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে পত্রিকায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এসব নেতা বলেন, এই বিচারের কারণে বিএনপির কোনো ক্ষতি নেই; বরং লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির দুই নেতারও বিচার চলছে। জামায়াত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের শরিক। জোটের ও ভোটের রাজনীতির জন্য এই বিচার বা রায়ের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার তাঁরা বিচারের বিপক্ষেও অবস্থান নিতে পারছেন না, তাতে বিএনপি-সমর্থক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। এই রায়গুলোর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন পক্ষে-বিপক্ষে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিন্তু চুপ রয়েছে বিএনপি।
প্রতিটি রায়ের পরই সাংবাদিকেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। প্রতিবার তাঁরা বলেছেন, দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা আর জানানো হয়নি।
রায় নিয়ে চুপ থাকার কারণ জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কঠোর বিধিনিষেধ আছে। স্থায়ী কমিটি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করেই চেয়ারপারসন এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে তাঁর দলের আনুষ্ঠানিক একটা অবস্থান নির্ধারণ করা আছে, তা হলো, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। তবে সেই বিচার হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে। এই বক্তব্যের বাইরে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের কোনো কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অন্য শরিকেরাও রায় নিয়ে কোনো কথা বলছেন না। জোটের শরিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই নেতার সঙ্গে আলাপকালে তাঁরাও একই কথা বলেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, মানবতবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম বিএনপি পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক জনসভায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ‘প্রহসন’ বলে মন্তব্য করায় পরে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর পর থেকে এই বিচার নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএনপি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা কেউ এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে পত্রিকায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এসব নেতা বলেন, এই বিচারের কারণে বিএনপির কোনো ক্ষতি নেই; বরং লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির দুই নেতারও বিচার চলছে। জামায়াত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের শরিক। জোটের ও ভোটের রাজনীতির জন্য এই বিচার বা রায়ের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার তাঁরা বিচারের বিপক্ষেও অবস্থান নিতে পারছেন না, তাতে বিএনপি-সমর্থক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। এই রায়গুলোর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন পক্ষে-বিপক্ষে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিন্তু চুপ রয়েছে বিএনপি।
প্রতিটি রায়ের পরই সাংবাদিকেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। প্রতিবার তাঁরা বলেছেন, দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা আর জানানো হয়নি।
রায় নিয়ে চুপ থাকার কারণ জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কঠোর বিধিনিষেধ আছে। স্থায়ী কমিটি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করেই চেয়ারপারসন এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে তাঁর দলের আনুষ্ঠানিক একটা অবস্থান নির্ধারণ করা আছে, তা হলো, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। তবে সেই বিচার হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে। এই বক্তব্যের বাইরে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের কোনো কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অন্য শরিকেরাও রায় নিয়ে কোনো কথা বলছেন না। জোটের শরিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই নেতার সঙ্গে আলাপকালে তাঁরাও একই কথা বলেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, মানবতবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম বিএনপি পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক জনসভায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ‘প্রহসন’ বলে মন্তব্য করায় পরে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর পর থেকে এই বিচার নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএনপি।
No comments:
Post a Comment