ওনার কি মা-বোন নেই?
আল্লামা শফীর মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার পক্ষে মত প্রকাশ করে বলেছেন, আমি মনে করি, সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত (আলটিমেটলি) এটা দলীয়ভাবেই হয়। দলীয়ভাবে হলে একটা শৃঙ্খলা থাকবে। ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে দলীয়ভাবেই হয়। আন্দোলনের নামে বাসে অগ্নিসংযোগ, চালক বা সহকারীদের হত্যা অথবা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল শনিবার গণভবনে ভারতীয় ঋণে কেনা ৮৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অশোক লেল্যান্ড বাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি এক ওয়াজ মাহফিলে নারীদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আমমেদ শফীর দেয়া বক্তব্যকে জঘন্য বলে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লামা শফীর একটা কথা দু'-একদিন ধরে টেলিভিশনে দেখছি। আল্লামা শফী যা বলেছেন, তা অত্যন্ত জঘন্য বলে আমি মনে করি। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ও অধিকার দেয়া হয়েছে। অথচ উনি মেয়েদের সম্পর্কে অত্যন্ত নোংরা ও জঘন্য কথা বলেছেন। শফীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওনার কি মা নেই? উনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি? ওনার কি বোন-স্ত্রী নেই? মা-বোন-স্ত্রীদের সম্মান তো আমাদের রক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম প্রথম যিনি গ্রহণ করেছিলেন, তিনি একজন নারীই ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেন বিবি খাদিজা। আর কেউ সাহস করে তা করেনি। এটা ওনার (শফী) মনে রাখা উচিত ছিল। ইসলাম ধর্মে যে জেহাদ হয়, সেই জেহাদে প্রথম যে শহীদ হন- তিনি বিবি সুমাইয়া। তাদের সম্পর্কে এই নোংরা আর জঘন্য কথা বলা, আবার এই নারী নেতৃত্বকে মেনে নেয়া কেমন আচরণ?
সদ্য সমাপ্ত পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে 'সত্' প্রার্থী দিয়েও ভোট না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সত্, ক্লিন ইমেজের এবং উন্নতি করেছেন তারা ভোট পাননি। যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি আর খুনের সঙ্গে জড়িত, তারাই জিতে এলেন। কেন তা হল- এর উত্তর নিজে জানেন না জানিয়ে তা খুঁজতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটা প্রার্থীর বিরুদ্ধে তো কেউ কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। সিটি নির্বাচনের ফলাফল অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে আমরা এই উন্নয়ন কেন করছি? কার জন্য করছি? যদি দুর্নীতিবাজরাই জিতে আসে? এই জেতার রহস্যটা কী? তিনি বলেন, শুনলাম জাতীয় ইস্যুর জন্য হেরে গেছি। জাতীয় ইস্যু কী? আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারছি কি না? এ সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, জাতীয় ইস্যুর জন্যই যদি হারব; তাহলে, আমার প্রশ্ন, জাতীয় ইস্যু হয়ে গেল দুর্নীতি? আমাদের সরকার নাকি দুর্নীতি করেছে। তবে দুর্নীতি করে তো এত উন্নয়ন সম্ভব নয়!
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৪ মে বিরোধীদলীয় নেতা একটা সমাবেশ করলেন। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন; বললেন যে, আমি পালানোরও পথ পাব না। আর, ৫ মে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অবরোধ করল। তারা এক জায়গায় বসতে চাইল; আমরা আপত্তি করিনি। তারা শাপলা চত্বরে বসল। এরপর, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে আগুন দেয়া হল। জায়নামাজ পোড়ানো হল। এরপর প্রতিবাদ কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) করেননি। কেউই করেননি। বায়তুল মোকাররমে হামলার সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ মে বায়তুল মোকাররমের সামনে শত শত কোরআন শরিফ পোড়ানো হয়েছে। আমি জানি না, ইসলামের ইতিহাসে এত কোরআন শরিফ আর কখনো পোড়ানো হয়েছে কি না। কারা পুড়িয়েছে? হেফাজতের আর জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। সব টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হচ্ছিল। তাদের হাত-পা ধরে হকাররা কাঁদছিলেন। বলছিলেন, আমাদের পেটে লাথি দিয়েন না। যারা হেফাজতের আর ইসলামের নাম নিয়ে কোরআন শরিফ পোড়ালো, তারা ইসলামের কী হেফাজত করবে? তারা ধর্মের এত বড় অবমাননা করে- কীভাবে ধর্মকে রক্ষা করবে? মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে অরাজকতার কথাও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব ঘটনা ঘটিয়ে মহিলাদের সম্পর্কে এখন নোংরা কথা বলছেন। ওনার জিভে পানি আসে। উনি যে নেত্রীর পাশে বসতেন, তাকে যদি তেঁতুল মনে করে ওনার জিভে পানি আসে তাহলে আমার কিছু বলার নাই। হেফাজত আমিরের এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের নারীরা সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গাজীপুর ইলেকশনে আমরা যাকে সাপোর্ট দিয়েছি তিনি তিনবারের পৌরসভা মেয়র। তার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতির কথা কেউ বলতে পারেনি। ক্লিন ইমেজের লোক। তাকে হারতে হল! জিতল কে? ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসাবে যে হজ্বের টাকা লুটে খেল। ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত। টাকা নিয়ে বসে থাকতে হবে, তাকে চাঁদার টাকা দিতে হবে।
খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক উন্নতির পরও বিদায়ী মেয়রদের হারে হতাশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, খুলনার মেয়র নকশাল করত, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি। খুনের মামলার আসামি ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে দল করতে গিয়ে খুনের মামলার আসামিকে জেলখানা থেকে বের করে দল করা শুরু করেন। খুলনায় মানিক সাহা, সাংবাদিক বালু এবং মঞ্জুরুল ইমাম থেকে যত মার্ডার হয়েছে তার সঙ্গে এই আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটি আমাদের, আসুন আমরা আমাদের সম্পদ রক্ষা করি। জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ভারতীয় 'ডলার ক্রেডিট লাইন' (আইডিসিএল)'র আওতায় আমদানি করা এসব বিলাসবহুল বাস জনগণের নিরাপদ ভ্রমণ সুগম করতে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আন্ত:জেলা রুটে চালু হবে। এই বাসগুলো বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে দেশের জনগণের জন্য 'রমজানের উপহার'। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উন্নত আঞ্চলিক যোগাযোগ গড়ে তোলার লক্ষে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু, শিলং ও গুয়াহাটি এবং মিয়ানমার পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএএন সিদ্দিকী এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)'র চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমদ।
'via Blog this'
গতকাল শনিবার গণভবনে ভারতীয় ঋণে কেনা ৮৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অশোক লেল্যান্ড বাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি এক ওয়াজ মাহফিলে নারীদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আমমেদ শফীর দেয়া বক্তব্যকে জঘন্য বলে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লামা শফীর একটা কথা দু'-একদিন ধরে টেলিভিশনে দেখছি। আল্লামা শফী যা বলেছেন, তা অত্যন্ত জঘন্য বলে আমি মনে করি। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ও অধিকার দেয়া হয়েছে। অথচ উনি মেয়েদের সম্পর্কে অত্যন্ত নোংরা ও জঘন্য কথা বলেছেন। শফীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওনার কি মা নেই? উনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি? ওনার কি বোন-স্ত্রী নেই? মা-বোন-স্ত্রীদের সম্মান তো আমাদের রক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম প্রথম যিনি গ্রহণ করেছিলেন, তিনি একজন নারীই ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেন বিবি খাদিজা। আর কেউ সাহস করে তা করেনি। এটা ওনার (শফী) মনে রাখা উচিত ছিল। ইসলাম ধর্মে যে জেহাদ হয়, সেই জেহাদে প্রথম যে শহীদ হন- তিনি বিবি সুমাইয়া। তাদের সম্পর্কে এই নোংরা আর জঘন্য কথা বলা, আবার এই নারী নেতৃত্বকে মেনে নেয়া কেমন আচরণ?
সদ্য সমাপ্ত পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে 'সত্' প্রার্থী দিয়েও ভোট না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সত্, ক্লিন ইমেজের এবং উন্নতি করেছেন তারা ভোট পাননি। যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি আর খুনের সঙ্গে জড়িত, তারাই জিতে এলেন। কেন তা হল- এর উত্তর নিজে জানেন না জানিয়ে তা খুঁজতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটা প্রার্থীর বিরুদ্ধে তো কেউ কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। সিটি নির্বাচনের ফলাফল অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে আমরা এই উন্নয়ন কেন করছি? কার জন্য করছি? যদি দুর্নীতিবাজরাই জিতে আসে? এই জেতার রহস্যটা কী? তিনি বলেন, শুনলাম জাতীয় ইস্যুর জন্য হেরে গেছি। জাতীয় ইস্যু কী? আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারছি কি না? এ সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, জাতীয় ইস্যুর জন্যই যদি হারব; তাহলে, আমার প্রশ্ন, জাতীয় ইস্যু হয়ে গেল দুর্নীতি? আমাদের সরকার নাকি দুর্নীতি করেছে। তবে দুর্নীতি করে তো এত উন্নয়ন সম্ভব নয়!
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৪ মে বিরোধীদলীয় নেতা একটা সমাবেশ করলেন। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন; বললেন যে, আমি পালানোরও পথ পাব না। আর, ৫ মে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অবরোধ করল। তারা এক জায়গায় বসতে চাইল; আমরা আপত্তি করিনি। তারা শাপলা চত্বরে বসল। এরপর, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে আগুন দেয়া হল। জায়নামাজ পোড়ানো হল। এরপর প্রতিবাদ কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) করেননি। কেউই করেননি। বায়তুল মোকাররমে হামলার সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ মে বায়তুল মোকাররমের সামনে শত শত কোরআন শরিফ পোড়ানো হয়েছে। আমি জানি না, ইসলামের ইতিহাসে এত কোরআন শরিফ আর কখনো পোড়ানো হয়েছে কি না। কারা পুড়িয়েছে? হেফাজতের আর জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। সব টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হচ্ছিল। তাদের হাত-পা ধরে হকাররা কাঁদছিলেন। বলছিলেন, আমাদের পেটে লাথি দিয়েন না। যারা হেফাজতের আর ইসলামের নাম নিয়ে কোরআন শরিফ পোড়ালো, তারা ইসলামের কী হেফাজত করবে? তারা ধর্মের এত বড় অবমাননা করে- কীভাবে ধর্মকে রক্ষা করবে? মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে অরাজকতার কথাও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব ঘটনা ঘটিয়ে মহিলাদের সম্পর্কে এখন নোংরা কথা বলছেন। ওনার জিভে পানি আসে। উনি যে নেত্রীর পাশে বসতেন, তাকে যদি তেঁতুল মনে করে ওনার জিভে পানি আসে তাহলে আমার কিছু বলার নাই। হেফাজত আমিরের এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের নারীরা সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গাজীপুর ইলেকশনে আমরা যাকে সাপোর্ট দিয়েছি তিনি তিনবারের পৌরসভা মেয়র। তার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতির কথা কেউ বলতে পারেনি। ক্লিন ইমেজের লোক। তাকে হারতে হল! জিতল কে? ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসাবে যে হজ্বের টাকা লুটে খেল। ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত। টাকা নিয়ে বসে থাকতে হবে, তাকে চাঁদার টাকা দিতে হবে।
খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক উন্নতির পরও বিদায়ী মেয়রদের হারে হতাশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, খুলনার মেয়র নকশাল করত, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি। খুনের মামলার আসামি ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে দল করতে গিয়ে খুনের মামলার আসামিকে জেলখানা থেকে বের করে দল করা শুরু করেন। খুলনায় মানিক সাহা, সাংবাদিক বালু এবং মঞ্জুরুল ইমাম থেকে যত মার্ডার হয়েছে তার সঙ্গে এই আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটি আমাদের, আসুন আমরা আমাদের সম্পদ রক্ষা করি। জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ভারতীয় 'ডলার ক্রেডিট লাইন' (আইডিসিএল)'র আওতায় আমদানি করা এসব বিলাসবহুল বাস জনগণের নিরাপদ ভ্রমণ সুগম করতে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আন্ত:জেলা রুটে চালু হবে। এই বাসগুলো বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে দেশের জনগণের জন্য 'রমজানের উপহার'। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উন্নত আঞ্চলিক যোগাযোগ গড়ে তোলার লক্ষে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু, শিলং ও গুয়াহাটি এবং মিয়ানমার পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএএন সিদ্দিকী এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)'র চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমদ।
No comments:
Post a Comment